রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সরকারী খোলা থাকার নির্দেশ অমান্য করে তালা ঝুলছে নিকারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়: হাসনাত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সহসভাপতি রানার পিতা টি এম মহশীনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল উদয়ন আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন সচেতনতা বাড়াতে ৮০০ ছাত্রীর মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ইমান আকিদা ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন চালিয়ে যাবে: মাওলানা শাহজাহান তথ্য উপদেষ্টার মাথায় বোতল ছুড়ে মারা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সেই ছাত্র গাভী নিয়ে গেছে বিএনপি নেতা, বাছুর কোলে নিয়ে আদালতে নারী ডোমারে প্রি-পেইড মিটার বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান
৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ভিশন বাংলা ডেক্সঃ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে এই ঋণ দেয়া হবে।
সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বোচ্চ ৫৬ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের সুযোগ পাবেন। ব্যক্তিগত বয়স ৫৬ পেরিয়ে গেলে তিনি আর এই ঋণ পাওযার যোগ্য হবেন না।
জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকা খরচ করলে তিনি সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ঋণ পাবেন। এক্ষেত্রে রেশিও হবে ৯০:১০। সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এটি হবে সরল সুদ এবং সুদের ওপর কোনও সুদ আদায় করা হবে না।
জাতীয় বেতন স্কেলে প্রথম থেকে পঞ্চম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের (উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার) জন্য ৭৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৬০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
৬ষ্ঠ থেকে ৯ম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৮তম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৩০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ২৫ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ২০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্যক্তিগত জমির ওপর বাড়ি তৈরি করতে চাইলে ঋণের আবেদনপত্রের সঙ্গে জমির মূল মালিকানা দলিল জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, মালিকানা পরম্পরার তথ্যও দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিএস, এসএ, আরএস এবং বিএস রেকর্ডের তথ্য। এ ছাড়া জেলা বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১২ বছরের নির্দায় সনদ নিতে হবে। ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে মালিকানার দলিল জমা রাখতে হবে।
সরকারি প্লট বা সরকার থেকে ইজারা নেয়া জমিতেও বাড়ি তৈরি করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঋণ আবেদনের সঙ্গে প্রথমেই জমা দিতে হবে প্লটের বরাদ্দপত্রের প্রমাণপত্র। এ ছাড়া দখল হস্তান্তরপত্র, মূল ইজারার দলিল ও বায়া দলিলের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ঋণ আবেদনপত্রের সঙ্গে আরও জমা দিতে হবে নামজারি খতিয়ানের জাবেদা নকল, খাজনা রসিদ ও আমমোক্তারনামা দলিল। জমিতে ডেভেলপারকে দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে জমির মালিক এবং ডেভেলপারের সঙ্গে নিবন্ধন করা ফ্ল্যাট বণ্টনের চুক্তিপত্র, অনুমোদিত নকশা, ফ্ল্যাট নির্মাণস্থলের মাটি পরীক্ষার প্রতিবেদন, সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্ধারিত ছকে ইমারতের কাঠামো নকশা ও ভারবহন সনদ জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া ডেভেলপার কোম্পানির সংঘ স্মারক, সংঘবিধি ও রিহ্যাবের নিবন্ধন সনদ, নকশা অনুযায়ী কাজ করার ব্যাপারে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের দেয়া অঙ্গীকারনামা, অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ নেই- মর্মে ডেভেলপারের দেয়া স্ট্যাম্প পেপারে ঘোষণাপত্রও থাকতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা কর্মচারী ব্যাংক রেটের সমহারে (বর্তমানে যা ৫%) সুদ পরিশোধ করবেন। সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ২০ বছর। গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়ার এক বছর পর থেকে এবং ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের টাকা পাওয়ার ছয় মাস পর থেকে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করবেন।
ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে চূড়ান্ত হওয়া নীতিমালার ৩ ধারায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব খাতভুক্ত স্থায়ী পদে কর্মরত হতে হবে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। তবে কোনও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় বা দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হলে সে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কেউ এই ঋণ সুবিধা পাবেন না।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com